রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে মন্দিরময় পাথরাকে পর্যটকদের কাছে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে উদ্যোগী হলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া। তিনি সংসদের পর্যটন-পরিবহণ-সংস্কৃতি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যা। তিনি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার(ভারতীয় পুরাতত্ত্ব গবেষণা) সদস্যদের নিয়ে এখানে আসেন। সব কিছু ঘুরে দেখেন। যাঁদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন। সাংসদ জুন মালিয়া জানান, বিষয়টি তিনি সংস্কৃতি ও পর্যটন মন্ত্রকের দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন। সাড়ে তিনশ বছর আগের সব মন্দির। কি সুন্দর তখনকার কারুকাজ। সবুজে ঘেরা এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে কাঁসাই নদী। কি সুন্দর একটা পর্যটন কেন্দ্র। তবু এএসআই-এর গফিলতিতে অনাদর অবহেলায় পড়ে আছে। ১৯৯৮ সালে ২৫ বিঘা জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২০২৫ সালেও তাঁরা ক্ষতিপূরণ পাননি।
কৃষকরা না পাচ্ছেন নিজের জমিতে চাষ করতে না পাচ্ছেন ক্ষতিপূরণের টাকা। তিনি জানান, এটা চলতে পারে না। প্ৰথম দিকে কয়েকটি মন্দির সংস্কারের কাজ করে আর কিছু করেনি। এখনো প্রতিদিন রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটক আসেন। চারদিক অপরিস্কার, আগাছায় ভরা সেসব পরিস্কার করা হচ্ছে না। এসব তিনি তাঁর রিপোর্টে উল্লেখ করবেন। প্রায় সাড়ে তিনশ বছর আগে পাল বংশের সময়ে মেদিনীপুর শহর থেকে কিছুটা দূরে কাঁসাই নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে একের পর এক মন্দির বিষ্ণুপুর আদলে।
রয়েছে নাট মন্দির, শিবালয়, দুর্গা মন্ডপ, রাসমঞ্চ, রঘুনাথ জিউ সহ ৩৪টি মন্দির। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে সব যখন ধ্বংসের মুখে তখন এগুলোর সংস্কারের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় মুসলিম যুবক ইয়াসিন পাঠান। তাঁর এই কাজের জন্য তিনি তৎকালীন রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ‘কবীর’ পুরস্কার পান। বছর ২২-এর সেই যুবক এখন ৭২-এর বৃদ্ধ। নানা রকম শারীরিক সমস্যা নিয়েও তিনি পাথরা কে তুলে ধরতে মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ইয়াসিন পাঠান জানান, লালমোহন মজুমদার, কেতকী ভট্টাচার্য, পরেশ দলুই সহ বহু কৃষক আজও ঘুরছেন। মন্দির সংস্কার করছে না ভারতীয় পুরাতত্ত্ব গবেষণা বিভাগ।