জমির ক্রেতা ও বিক্রেতাকে হুমকি দেবার অভিযোগ উঠলো পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ক্যান্সার আক্রান্ত বৃদ্ধের চিকিৎসার জন্য পারিবারিক জায়গা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন তার ছেলে। ওই জায়গা কিনতে রাজিও হন প্রতিবেশী পরিবার। কিন্তু ওই জায়গা বিক্রিতে বাধা দিয়ে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পরিবারকেই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ভাতারের এক বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এমনকি তিনি মহিলাদের অশালীন হুমকি দিয়েছেন। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের ঘটনা। ক্রেতা ও বিক্রেতা দুপক্ষই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, ওই বিজেপি নেতার নাম রাজকুমার হাজরা। তিনি বিজেপির ভাতার বিধানসভার কো-কনভেনর পদে রয়েছেন। যদিও রাজ কুমারবাবুর পাল্টা অভিযোগ, তাঁর মাকে হুমকি দিয়েছে জায়গার মালিক পক্ষ। এমনকি ‘নিচু জাত’ বলে গালিগালাজ করা হয়েছে। বড়বেলুন গ্রামের বাসিন্দা পল্লব চক্রবর্তী গৃহ শিক্ষকতা করেন। তাঁর বাবা পার্থসারথী বাবু দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে ভুগছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। ওই গ্রামেই বাড়ি বিজেপি নেতা রাজকুমার হাজরার।
রাজকুমারের বাড়ির পাশেই পার্থসারথী বাবুদের একটি পারিবারিক জায়গা রয়েছে। জমির মালিক পল্লব চক্রবর্তী বলেন, আমাদের শরিকরা জায়গাটিতে আমাদের আধ কাঠা অংশ বিক্রি করার অনুমতি দিয়েছে। সেইমত জায়গাটি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিই। প্রতিবেশী সুদেব রেজের সঙ্গে জমি বিক্রির বিষয়ে কথাবার্তা হয়ে যায়। টাকাও নিয়ে নিই। কিন্তু রাজকুমার হাজরা দাবি করে ওই জায়গা বিক্রি করা হবে না। কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজকুমার আমাদের বাড়িতে এসে বাবা-মা এবং আমার স্ত্রীকে হুমকি দেয় ওই জায়গা ওদের লিখে দিতে হবে বলে যায়। অন্যদিকে সুদেব রেজের স্ত্রী বৈশাখী রেজও একই অভিযোগ তুলেছেন রাজকুমারের বিরুদ্ধে।
তাঁর অভিযোগ, ওই জায়গা কিনলে আমাদের ক্ষতি করে দেওয়া হবে বলে শাসিয়ে যায় রাজকুমার হাজরা। আমরা পুলিশকে জানিয়েছি। রাজকুমার হাজরার দাবি, আমাদের বাড়ির পাশে ওই জায়গায় আমরা সবজি চাষ করতাম। তাই আমি বলেছিলাম যাতে জায়গাটি বিক্রি হলে আমাদের সুযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ওরাই আমাদের জায়গা দিতে রাজি হয়নি। উল্টে গালিগালাজ করে। বিক্রেতা জবা চক্রবর্তী ও ক্রেতা বৈশাখী রেজ জানান, বিজেপি নেতা তাদের অকথ্য ভাষায় হুমকি দিয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শান্তনু কোণার এই প্রসঙ্গে বলেন, সামান্য ক্ষমতা পেয়েই বিজেপির এই আচরণ। পুলিশ নিশ্চয়ই বিষয়টি দেখবে। বিজেপি নেতা স্মেহময় কুন্ডু এই প্রসঙ্গে জানান, তিনি নিজে দলীয়ভাবে তদন্ত করে দেখবেন। অভিযুক্ত মানেই দোষী নন। তবে ঘটনা সত্য হলে দল পাশে থাকবে না।