রাজ্যে আবারো বাড়লো করো না সংক্রমণ। সেই সঙ্গে গোটা দেশের। তবে এখনো পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের করণা সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোন কারণ নেই বলে ডাক্তাররা মনে করছেন। তবে বেশি করে সজাগ থাকার উপর জোর দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। পড়ো না কালে মুখে যেভাবে মাক্স করা হতো তা ব্যবহার করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। বিশেষ করে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এবং জনবহুল এলাকায়। জ্বর সর্দি কাশি ও গলা ব্যথা হলে যদি না কমে দু-তিন দিনের মধ্যে তার জন্য ডাক্তারদের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
পড়ো না বড় আকারে সংক্রমিত না হলেও কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল ওই রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় প্রাথমিক ব্যবস্থা সেরে রেখেছে। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় নতুন করে ৮২ জন আক্রান্ত হয়েছেন করোনাতে। এই নিয়ে বাংলায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮৭। গোটা দেশের আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭৫৮। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৬০ জন।
কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে সব থেকে বেশি করনা ছড়াচ্ছে কেরল, মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ুতে।ওইসব রাজ্যে জনসাধারণকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব মেনে এবং করোনা কালে যেসব বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছিল তা মানতে বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্তব্য বলেছে উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি।
কেন্দ্রীয় সরকার গোটা বিষয়টির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত যে ভেরিয়েন্ট পাওয়া গিয়েছে তা বেশ দুর্বল। এবারেও নতুন ভেরিয়ান্টের এপিসেন্টার সেই চিন। ওখান থেকে দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়েছে হংকং ও সিঙ্গাপুরে। চিকিৎসকদের একটি অংশ বলেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বলা যেতে পারে সব সময়ই করোনার ভ্যারিয়েন্টের সন্ধান মেলে। তার প্রধান কারণ হলো এই দেশের মানুষ জন নিয়ম-নীতির কোন তোয়াক্কা না করে প্রভাতে মেলামেশা করে। তাছাড়া এই দেশে অন্যান্য বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিনিয়ত মানুষ যাতায়াত করে থাকেন। ভারতের ক্ষেত্রে চীন, হংকং ও সিঙ্গাপুর থেকে আগত যাত্রীদের উপর বিভিন্ন বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন বিভাগকে নজর রাখতে বলা হয়েছে।