আবারও বাঘের আতঙ্ক সুন্দরবনের লোকালয়ে, এবার মৈপীঠের নগেনাবাদ বোসের ঘেরি পাইকপাড়ায় বাঘের আতঙ্ক। এলাকার এক বাসিন্দা শৌচালয়ে যাওয়ার সময় লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে বাঘের দেখা পান। খবর দেওয়া হয়েছে বনদফতরের। বনদফতরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরদারি শুরু করেছেন। নলগোড়া বিটের একাধিক বনকর্মীরা এবং কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যরা রাত পাহারায় বসেছেন। বাঘ আজমলমারি ১২ নম্বর জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাকরি নদী পেরিয়ে লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে এসেছিল বলে জানায় বাসিন্দারা। আর এই ঘটনা কে কেন্দ্র করে গোটা গ্রাম আতঙ্কিত হয়ে পড়ে, এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। গ্রামবাসীরা বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পরে। বন কর্মীরা এলাকায় গিয়ে ক্ষতিয়ে দেখছেন বলে এলাকাবাসি সূত্রের খবর।
বোঝার চেষ্টা করছে বাঘ পুনরায় জঙ্গলে চলে গিয়েছে নাকি লোকালয়ের মধ্যে রয়েছে। যদিও নজর রেখেছে বনদফতর। সাধারণতঃ শীতের মরশুমে সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী কিংবা খালগুলিতে জল কম থাকার কারণে অনায়াসে জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ের মধ্যে বাঘ ঢুকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। কিন্তু এভাবে গরমের সময় লোকালয়ে বাঘ ঢোকার খবর পাওয়া যায় না, তবে গত মৌসুম থেকে এই মৌসুমে বেশি বাঘ লোকালয়ে ঢোকার খবর পাওয়া গিয়েছে। তবে কি কারণে এভাবে গরমকালে লোকালয় বাঘ ঢুকছে সেই প্রশ্নই উঠছে বারে বারে।
বাঘ বেড়েছে নাকি খাবারের অভাবে বারে বারে লোকলায় বাঘ ঢুকে পড়ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার শৌচালয় যাওয়ার সময় ঘর থেকে বের হন মৈপীঠের নগেদাবাদের এক বাসিন্দা। তারই নজরে পড়ে যায় হলুদ ডোরাকাটা দক্ষিণরায়। তখন থেকেই তিনি কাঁপতে থাকেন। আজমলমারির জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাকরি নদী পেরিয়ে লোকালয় ঘেঁষা জঙ্গলে হাজির হয়েছে দক্ষিণরায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে আতঙ্ক গ্রাস করেছে মৈপীঠের গ্রামবাসীদের। খবর পেয়ে এসে গিয়েছে বন দফতর। এই বাঘকে ঘন জঙ্গলে ফেরাতে খাঁচা পাতার কাজও শুরু হয়েছে। বাঘবন্দি না হওয়া পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারছেন না গ্রামবাসীরা। তবে গ্রামবাসীদের বাড়ি থেকে বেরনোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পুলিশ।