ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে বুধবার এক কালো দিন। আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন প্রিয় দল বেঙ্গালুরু রয়েল চ্যালেঞ্জের ক্রিকেটারদের সম্বর্ধনা অনুষ্ঠানে অসম্ভব ভিড়ে পদ পিষ্ট হয়ে ১১ জন মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কয়েকজন শিশু ও কিশোরও রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুরজিন্না স্বামী স্টেডিয়ামে। ওই দুর্ঘটনায় ৫০ জনের বেশি গুরুতর যখম।তাদের আশঙ্কা জনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্টেডিয়ামের বাইরে যখন কাতারে কাতারে মানুষ। প্রত্যেকেই ব্যারিকেট ভেঙে ভিতরে ঢুকতে চায়। পুলিশ বাধা দিল শেষ পর্যন্ত রক্ষা হয়নি। বন্যার জলে চোরের মত মানুষের সুনামি আছড়ে পড়ে। আর তাতেই পদোকৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের।
এই প্রথম কোহলির বেঙ্গালুরু রয়েল চ্যালেঞ্জার আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হলো। স্বভাবতই সমর্থকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মত। ক্রিকেটারদের নিয়ে বিমানবন্দরে পৌঁছতেই সমর্থকদের হর্ষ ধনী। বিমানবন্দরে ক্রিকেটারদের সম্বর্ধনা জানান উপমুখ্যমন্ত্রী পি শিবকুমার। পরে বিধানসভায় রাজভবনে ক্রিকেটারদের সম্বর্ধিত করেন মুখ্যমন্ত্রী সিস্নিধা রামাইয়া। রাজ্যপাল থাওয়াচাদ গেহলট। এরপর ক্রিকেটাররা আসেন চেন্না সামি স্টেডিয়াম। সেখানে ছিল ভিক্টরি প্যারেড।বাইরে কিন্তু ততক্ষণে হুড়োহুড়ি এবং পদ্যপিষ্ট হয়ে কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। তা সত্ত্বেও ওই অনুষ্ঠান থামানো যায়নি। ১৫ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠানটি শেষ করে ঘুর পথে ক্রিকেটারদের নিয়ে চলে যায় পুলিশ। যদিও স্টেডিয়ামে তখন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া উপস্থিত ছিলেন।
প্রশ্ন উঠেছে ৩৩ হাজার আসনের স্টেডিয়ামে কিভাবে ৫ লক্ষের বেশি মানুষ এলো। পুলিশের তরফে এর কোন ব্যাখ্যা দেয়া হয়নি। কর্ণাটকের উপ মুখ্যমন্ত্রী কি শিব কুমার বলেছেন আমরা ৫০ পুলিশ মোতায়েন করলেও পরিস্থিতি সামাল দেয়া যায়নি। তবে তিনি পুরুষই গাফিলতি মানতে নারাজ। এমনকি এই ঘটনা ঘটার পরেও উচ্চ পর্যায় কোন তদন্তের আদেশ এখনো পর্যন্ত ডাইনি কর্ণাটক সরকার। কর্ণাটকের বিরোধী দল বিজেপি বলেছে কংগ্রেস শাসিত এই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা নেই। সামান্য ভিত্তি প্যারেড সুশৃংখলভাবে আয়োজনও করতে পারিনি এই সরকার। উত্তরে শিবকুমার বলেন বিরোধীদের কাজই হল সমালোচনা। আর আমরা মানুষকে রক্ষা করি। উত্তরে বিজেপি বলেছে রক্ষার নমুনা তো বুধবারের চিহ্নাস্বামী স্টেডিয়াম। এখানে ১১ জন নিরাপরাধ নাগরিককে জীবন দিতে হলো।