আজ বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলের পাঁচ দিনের বেডরেস্টের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে জামিন অযোগ্য ধারায় অনুব্রতকে দু দুবার তদন্তকারী অফিসার এসডিপিও দেখে পাঠান। কিন্তু স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে তিনি যাননি। একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে আর ডাক্তারের সার্টিফিকেট দিয়ে তিনি রেহাই পেয়েছেন কয়েকদিন।
কিন্তু এর মধ্যেই বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারের দুটি ফোন তদন্তকারী অফিসারেরা বাজেয়াপ্ত করেছেন। এরমধ্যে একটি আইফোন। অপরটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন। অভিযোগ ওই আইসি সিক্রেট আইনকে উপেক্ষা করে আইফোনে আশা ফোন অন্য একটি ফোনে রেকর্ড করেন। সেখান থেকেই ওই অডিও ভাইরাল হয়েছে। আইসির বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। এজন্যই তার দুটি ফোনকে বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। আইন অনুযায়ী কারুর অনুমতি ছাড়া তার ফোন আলাপ রেকর্ড করা যায় না। এক্ষেত্রে আইসি কেন এবং কিভাবে রেকর্ড করেছেন তা তদন্ত হবে।
আইসি টেলিফোন বাজেয়াপ্ত হলেও এখনো পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলের কোন ফোন পুলিশ বাজেয়াপ্ত করতে পারেনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা তো দূরের কথা। এসব নিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি পুরুষের সমালোচনা শুরু করে দিয়েছে। এখন প্রশ্ন পাঁচ দিন বেড রেস্টের পর আজ বৃহস্পতিবার পুলিশ শেষ পর্যন্ত অনুব্রতর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে পারবে। নাকি আবার নোটিশ দিয়ে তারিখ পে তারিখ এই নীতিতে চলে যাবে। আর অনুব্রত ক্ষমা চেয়ে মুক্তি পাবে। এদিন পূর্ব ঘোষণা মতো আবিষ্কৃত বীরভূম জেলা ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সিউড়ি থানায় যান। সমাজ মাধ্যমে তিনি যেসব অভিযোগ এনেছিলেন থাক স্বপক্ষে কি কি তথ্য আছে তদন্তকারীরা তার কাছে জানতে চান। দেড় ঘন্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর লিখিতভাবে তার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।