মূলত ছাত্র ও যুবদের উপর দায়িত্ব থাকে শহিদ দিবস পালনের। দলের বর্ষীয়ান নেতাদের পরামর্শক্রমে ছাত্র, যুব সংগঠনের সদস্যরা তার আয়োজন করে। এবছরও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। বরং এবার একটু আগেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে বসছে ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠক। তাতে যোগ দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই সমস্ত জেলা সভাপতি, চেয়ারম্যানের কাছে চিঠি পৌঁছেছে। ডাকা হয়েছে দুই সাংগঠনিক জেলা – কলকাতা উত্তর ও বীরভূমের কোর কমিটিকেও। তৃণমূলের ২১ জুলাই – শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের দিকে বরাবরই নজর থাকে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলের। ১৯৯৩ সালের আন্দোলনে ১৩ জনের শহিদ হওয়ার ঘটনা স্মরণে রেখে প্রতি বছর নতুন করে লড়াইয়ের শপথ নিতে দেখা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।
কলকাতার ধর্মতলা চত্বরে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে ছাত্র, যুব সংগঠনের নেতানেত্রী ছাড়াও এই দিনটিতে বার্তা দেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, যিনি একসময়ে যুব তৃণমূলের সভাপতির পদও সামলেছেন। আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। চতুর্থবার তৃণমূল সরকারের ক্ষমতায় ফেরার সুযোগ। তার আগে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে সে অর্থে লড়াইয়ের সূচনা হওয়ার বড়সড় সম্ভাবনা। দলের তরুণ সংগঠনকে লড়াইয়ের ময়দানে নামানোর প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হয়। এবছর এই মঞ্চ থেকে প্রচারের সুর বেঁধে দেওয়া হতে পারে। তারই প্রস্তুতি নিতে ১৪ জুন ভবানীপুরের দলীয় কার্যালয়ে সমস্ত জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই মুহূর্তে কলকাতা উত্তর ও বীরভূম জেলার সংগঠনের দায়িত্ব কোর কমিটির উপর বর্তেছে। সেই কারণে ২১ জুলাইয়ের বৈঠকে দুই জেলার কোর কমিটির সদস্যদেরও ডেকে পাঠানো হয়েছে।