দম্পতি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই বারবার আঙুল উঠেছে মেঘালয়ের দিকে। সোনম এবং রাজা দু’জনের পরিবারই মেঘালয় সরকারকে দুষেছে। সোমবার অবশেষে সোনম গ্রেপ্তার হওয়ার পর পালটা সুর চড়িয়েছেন মেঘালয়ের মন্ত্রী আলেকজান্ডার লালু হেক। তিনি বলেন, “এতদিন ধরে মেঘালয়ের সরকার সর্বোপরি মেঘালয়ের মানুষকে দোষ দেওয়া হচ্ছিল। এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক। তবে আমাদের পুলিশ অসাধারণ কাজ করেছে, ৭ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে।” মেঘালয়ের মানুষকে এইভাবে দোষারোপ করার জন্য মানহানির মামলা দায়ের করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। মেঘালয়ে মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে ‘নিখোঁজ’ হয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন সোনম রঘুবংশী । তারপরেই সোনমের শাশুড়ির স্পষ্ট দাবি, ফাঁসিতে ঝোলানো হোক তাঁকে। অন্যদিকে সোনমের বাবার কথায়, তাঁর মেয়ে নির্দোষ। আসল দোষীদের খুঁজতে সিবিআই তদন্তের দাবি করেছেন তিনি।
অন্যদিকে, গোটা ঘটনায় মেঘালয়ের মন্ত্রীও সুর চড়িয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে প্রয়াত রাজা রঘুবংশীর মা উমা রঘুবংশী জানান, “সোনম তো আমার সঙ্গে বেশ ভালোই ব্যবহার করত, দেখা হলে জড়িয়ে ধরত। মেঘালয়ে হানিমুনের পরিকল্পনা, টিকিট কাটা সবকিছুই ও নিজে করেছিল। কিন্তু বেড়াতে যাওয়ার আগে রাজাকে চেন পরতে দেখে সন্দেহ হয়। রাজা বলেছিল, সোনমের কথাতেই অভ্যাস না থাকলেও চেন পরছে। হয়তো কোনও পরিকল্পনা আগে থেকেই ছিল। ফেরার টিকিট কাটেনি সেজন্য। তাই সোনম যদি দোষী হয় ওকে ফাঁসি দেওয়া হোক”, ছেলেকে হারিয়ে বলছেন উমা।
তবে গোটা ঘটনায় সোনমের কোনও যোগ নেই বলে দাবি তাঁর বাবার। সোনমের বাবা দেবী সিংয়ের কথায়, উত্তরপ্রদেশের একটি ধাবা থেকে সোনম নিজেই পরিবারকে ফোন করেন। পরিবারের থেকে খবর পেয়েই ওই ধাবা থেকে আটক করা হয় সোনমকে। দেবীর মতে, “একটা ষড়যন্ত্রে আমার মেয়েকে ফাঁসানো হচ্ছে। সত্যিটা চাপা দেওয়া হচ্ছে। গোটা ঘটনার স্বচ্ছ তদন্ত চাই। সিবিআই তদন্ত হোক যেন সুবিচার হতে পারে।”