ঋণের পাহাড়ে চাপা পড়ে কার্যত নাভিশ্বাস উঠেছে পাকিস্তানের। দেশটির জন্মলগ্ন থেকে এখনও পর্যন্ত সর্বকালীন দেনায় ডুবেছে শাহবাজের দেশ। সোমবার পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সমীক্ষার এক রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, মার্চ ২০২৫ পর্যন্ত পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৬ ট্রিলিয়ন অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ২৩ লক্ষ কোটি টাকা। যা পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ইতিহাসে নয়া রেকর্ড। প্রকাশিত রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, গত চার বছরে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ দ্বিগুণ আকার নিয়েছে।
২০২০-২১ সালে পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ছিল ৩৯,৮৬০ বিলিয়ন। ১০ বছর আগে পাকিস্তানের ঋণের পরিমাণ ছিল এটাই ছিল ১৭,৩৮০ বিলিয়ন। সেই হিসেবে দেখতে গেলে পাকিস্তানহের ঋণের পরিমাণ গত ১০ বছরে বেড়েছে দশ গুণ। আসলে আগামী ১০ জুন সংসদে বাজেট পেশ করতে চলেছ পাক সরকার। তার আগে সোমবার প্রকাশ করা হয় এই আর্থিক সমীক্ষা রিপোর্ট। যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে ৭৬ ট্রিলিয়নের এই ঋণের মধ্যে ৫১,৫১৮ বিলিয়ন দেশের অন্দরের ঋণ ও ২৪,৪৮৯ বিলিয়ন বৈদেশিক ঋণ।
ওই রিপোর্ট পাক সরকারকে সতর্ক করে আর্থিক বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই বিপুল পরিমাণ ঋণ পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য বিরাট ঝুঁকিপূর্ণ। যদি এই ঋণের বোঝা ও সুদের উপর নজর না দেওয়া হয় সেক্ষেত্রে আগামী দিনে পাকিস্তানের রাজকোষ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৫ অর্থবর্ষের প্রথম ৯ মাসে দেশটির আর্থিক বৃদ্ধি ছিল ৬.৭ শতাংশ।