গরম বাড়তেই চাপ বাড়তে শুরু করেছে এসির রিমোটের তাপমাত্রা কমানোর বোতামে। রাস্তাঘাট থেকে গলদঘর্ম হয়ে বাড়ি ফিরে হিমঠান্ডা ঘরেই শান্তি খুঁজছেন মানুষ। তার জন্য এসির তাপমাত্রা কখনও- সখনও ঠেলে দিচ্ছেন একেবারে ১৭ কিংবা ১৮ ডিগ্রিতে। ধীরে ধীরে সেই হিমঠান্ডা ঘরের শীতল অনুভূতি ঠান্ডা করছে শরীর। স্বস্তি দিচ্ছে মনে। কিন্তু সে সুখানুভূতিতে এ বার বাদ সাধতে চলেছে সরকার।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহর লাল খট্টর জানিয়েছেন, ইচ্ছেমতো আর এসির তাপমাত্রা কমানো বা বাড়িয়ে দেওয়া যাবে না। শীঘ্রই এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার সীমা বেঁধে দিতে চলেছে কেন্দ্র! এ ব্যাপারে একটি কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাও জারি করা হবে।
বঙ্গে গরমের পারদ চড়তে শুরু করেছে সবে। নিম্নচাপের বৃষ্টির জেরে গ্রীষ্মের অধিকাংশ সময় কেটেছে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায়। সেই পরিস্থিতি কাটতে না কাটতে ধীরে ধীরে চেনা গরম ফিরছে। এ দিকে, উত্তর ভারত জুড়ে জারি করা হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও। এরই মধ্যে সরকারের তরফে এসির সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রাশ টানার ঘোষণা করা হল। মন্ত্রী জানালেন, বাতানুকূল যন্ত্রের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রির নীচে এবং ২৮ ডিগ্রির উপরে রাখা যাবে না। আর এই নিয়ম শুধু বাড়ি বা অফিস বা বাণিজ্যিক প্রয়োজনে ব্যবহৃত এলাকার জন্যই নয়, গাড়ির ভিতরে চালানো এসির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। সরকার পরীক্ষামূলক ভাবে এসি সংক্রান্ত এই নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে শীঘ্রই।
সাধারণত এসির তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ১৬ ডিগ্রি পর্যন্ত নামানো যায়। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বাড়ানো যায় ৩০ ডিগ্রি পর্যন্ত। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে বিষয়টি কী ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, তা অবশ্য স্পষ্ট করেননি মন্ত্রী। শুধু জানিয়েছেন, পরিবেশ রক্ষার স্বার্থেই ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। তা ছাড়া বিদ্যুতের সাশ্রয়ও একটা বড় কারণ।