গরমে হাঁসফাঁস করছে দক্ষিণবঙ্গ। সকাল গড়াতেই রোদের তেজ অসহনীয় হয়ে উঠছে। শহর জুড়ে জারি হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কতা। স্বস্তির খোঁজে মানুষ ভিড় করছেন ঠান্ডা পানীয়ের কাছে, আর সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ডাব। কিন্তু অতিরিক্ত চাহিদার জেরে বেড়েছে ডাবের দাম। বহরমপুর শহরের বাজারে বর্তমানে একেকটি ডাব বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়!
গত কয়েকদিন ধরে বহরমপুর ও আশপাশে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁই ছুঁই। সকাল ৯টা বাজতেই সূর্যের তেজ চরমে পৌঁছচ্ছে। গরমে হাঁপিয়ে উঠেছেন পথচারী, দিনমজুর, রিকশাচালক থেকে শুরু করে অফিসযাত্রীরা। শরীর ঠান্ডা রাখতে ডাবই যেন সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পানীয়।
শহরের বাজার, বাসস্ট্যান্ড, হাসপাতাল চত্বর ও মোড়ে মোড়ে ডাব বিক্রেতাদের ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জমজমাট বিক্রি। আগে ৫০–৬০ টাকায় যে ডাব পাওয়া যেত, এখন তার দাম ১২০ টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে।
ডাব বিক্রেতা দেবব্রত পাল জানিয়েছেন, চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দামও বেড়েছে। অপরদিকে কলেজছাত্রী পূজা সরকারের মতে, এত দামে রোজ ডাব খাওয়া সম্ভব নয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডাবের জল গরমে ইলেকট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণে দারুণ কার্যকর। কিন্তু দাম যেন নাগালের মধ্যে থাকে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। এক সমাজকর্মী মত প্রকাশ করেছেন ,ডাব শুধু পণ্য নয়, এই পরিস্থিতিতে তা একপ্রকার ওষুধ। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরি।