প্রখর দাবদাহে যখন জেলাবাসী পুড়ছে, তখন ঠান্ডা জলের জন্য মাটির কলসির চাহিদা বাড়ছে দ্রুত হারে। রেফ্রিজারেটরের যুগেও এই চাহিদা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর। মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় কুমোরদের হাতে তৈরি মাটির কলসি মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে ফিরে আসছে নতুন করে। গ্রীষ্মের দাবদাহে তেষ্টা মেটাতে অনেকেই ভরসা রাখছেন মাটির কলসির ঠান্ডা জলে।
মানুষের বক্তব্য, ফ্রিজের জল স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর হলেও মাটির কলসির জল প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা হয় এবং শরীরের পক্ষে উপকারী। তাই ফ্রিজ থাকা সত্ত্বেও অনেকেই মাটির কলসিকেই বেছে নিচ্ছেন। এতে উপকার যেমন হচ্ছে শরীরের, তেমনি উপকার হচ্ছে কুমোরদেরও। তাঁদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে এই অতিরিক্ত বিক্রি।
এক কুমোর জানিয়েছেন, সাধারণত সারা বছরে সপ্তাহে একটি বা দুটি কলসি বিক্রি হত। কিন্তু এই গরমে প্রতিদিন ৫ থেকে ৭টি পর্যন্ত কলসি বিক্রি হচ্ছে। কুড়ি লিটারের কলসি যেখানে আগে ২০০-২৫০ টাকায় বিক্রি হতো, এখন তা ৩৫০-৪৫০ টাকা বা তারও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুধু কলসি নয়, মাটির বোতলের চাহিদাও বেড়েছে চোখে পড়ার মতো।
রঘুনাথগঞ্জের বাসিন্দা জাহিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমার বাড়িতে ফ্রিজ আছে, কিন্তু তবুও আমি মাটির কলসির জল পান করি। এর স্বাদ ও উপকারিতা আলাদা।’
এইভাবে গ্রীষ্মের দাবদাহ কুমোর শিল্পে নতুন প্রাণসঞ্চার করছে। যান্ত্রিকতার যুগে প্রকৃতির ছোঁয়া আবারও ফিরে আসছে বাংলার সাধারণ মানুষের জীবনে।