শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য একমাত্র খেলার মাঠের পাশেই অবস্থিত একটি প্রাচীন পুকুরকে ঘিরে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। অভিযোগ, রাতের অন্ধকারে বেআইনিভাবে সেই পুকুরটি ভরাট করছে একদল মাটি মাফিয়া। যদিও কারা এই বেআইনি কার্যকলাপে যুক্ত, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপনে মাটি ফেলে পুকুর ভরাটের কাজ চলছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই রঘুনাথগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর তদন্তে নামে। এক আধিকারিক জানান, পুকুর ভরাট সম্পূর্ণ বেআইনি। ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ পৌঁছাতেই জঙ্গিপুর পৌরসভার পৌরপিতা মফিজুল ইসলাম সরাসরি রঘুনাথগঞ্জের ম্যাকেনজি পার্ক ময়দানে হাজির হন। সেখান থেকেই ভূমি দপ্তরের আধিকারিকদের কড়া নির্দেশ দেন, কোনোভাবেই পুকুর ভরাট চলবে না। যে মাটি ফেলা হয়েছে, তা দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে।
জঙ্গিপুর পৌরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রতিনিধি দীনেশ সাহা বলেন, এই পুকুরটি বহু পুরনো। খেলার মাঠের জল নিষ্কাশনের একমাত্র পথ এই জলাশয়। একে ভরাট করা মানে পরিবেশের ও জনজীবনের বিরুদ্ধে অপরাধ করা। যারা এমন কাজ করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া উচিত।
তবে প্রশ্ন উঠছে—রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, কোনো জলাশয় বা পুকুর ভরাট করা যাবে না, সেই নির্দেশকে উপেক্ষা করে প্রশাসনের নাকের ডগায় কীভাবে এমন বেআইনি কার্যকলাপ চলল? কীভাবে পাচার হচ্ছে মাটি? কারা দিচ্ছে মদত?
এই ঘটনার পর প্রশাসনের পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে এখন তাকিয়ে রয়েছেন জঙ্গিপুরবাসী।