ঠিক এভাবেই মাছের পেটির ভেতর মাদকদ্রব্য পাচার রুখেছিল আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। এবার গাঁজা পাচারের জন্য খালি ফল ও সবজির বাস্কেট বোঝায় ট্রাকে গাঁজা পাচার হচ্ছে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কের সার্ভিস রোডের উপর, পুলিশের কাছে এমন তথ্য আসতেই সক্রিয় হলো গোয়েন্দা বিভাগের বিশেষ দল। রবিবার সন্ধ্যায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুরিয়া থানা এলাকার শ্রীপুর ফাঁড়ির চাঁদা সার্ভিস রোডে একটি ফল সবজির বাস্কেটের আড়ালে ব্যাপক পরিমাণ গাঁজা নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে অতর্কিতে অভিযান চালিয়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে ধাওয়া করে গোয়েন্দা বিভাগের দল ও জামুরিয়া থানার পুলিশ।
অভিযানে পাচারের আগেই আটক হয় বিপুল পরিমাণে গাঁজা। মাদকদ্রব্য পাচার মামলায় ২ পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সঙ্গে এই কাজে ব্যবহৃত লরিটিকেও আটক করে পুলিশ। জানা যায়, উড়িষ্যা থেকে এই গাঁজা পাচার হচ্ছিল পশ্চিম বর্ধমান জেলা দিয়ে বিভিন্ন প্রান্তে। এই ঘটনায় গাড়ির চালক সহ গাঁজা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ফল ও সবজি বাস্কেটের আড়ালে এই গাঁজা পাচারের পরিকল্পনা চলছিল। তবে পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তৎপর থাকায় এই পাচার প্রক্রিয়া রাস্তার মাঝেই ধরা পড়ে। কারা কারা এর সঙ্গে আরও যুক্ত রয়েছে, এই পাচারচক্র কতটা দূর পর্যন্ত বিস্তৃত, সে সকল বিষয়গুলি নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে একজন বার্ণপুরের নিউটাউন এলাকার বাসিন্দা জিতেন্দ্র প্রসাদের কাছে এই গাঁজা নিয়ে আসছিল উড়িষ্যার কালিয়া নায়েক। অভিযুক্তদেরকে সামনে রেখেই ওই সকল পেটি ছড়িয়ে তিনটি বস্তার মধ্যে প্রায় ৫০ প্যাকেট গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছে, বেশিরভাগ প্যাকেটেরই ওজন ১ কিলো ৮৫০ থেকে ১ কিলো ৯০০ গ্রামের মতো। সব মিলিয়ে প্রায় ৯৫ কিলো গাঁজা আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা যায়। সমগ্র আটক প্রক্রিয়ায় বিশেষভাবে উপস্থিত ছিলেন সার্কেল ইন্সপেক্টর সুশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, জামুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সৌমেন্দ্রনাথ সিংহ ঠাকুর, শ্রীপুর ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত অধিকারিক মেহরাজ আনসারী সহ গোয়েন্দা বিভাগের আধিকারিকরা।