বিধ্বংসী মার্কিন ড্রোন MQ-9 ড্রোন গুলি করে নামানো হয়েছে বলে সোমবার দাবি করা হয়েছে ইরানের তরফে। ইরানের আকাশে মার্কিন ড্রোনের আনাগোনা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বাড়িয়েছে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী ইরানকে ধরাশায়ী করতে ইজরায়েলের সঙ্গ নিয়ে সরাসরি হামলার পথ নিলেন ট্রাম্প? আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, ইরান-ইরাক সীমান্তবর্তী ইরানের ইলাম প্রদেশে ইরানের সেনাবাহিনী গুলি করে নামায় এই MQ-9 ড্রোন। ফার্স নিউজ এজেন্সির দাবি অনুযায়ী দেহলোরান শহরের উপরে ড্রোনটি ধ্বংস করা হয়েছে। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘তাস’-এর দাবি অনুযায়ী, ওই অঞ্চলের ডেপুটি গর্ভনর নিশ্চিত করেছেন ড্রোনটি মার্কিন সেনাবাহিনীর। সেটি ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছিল। যার জেরেই সেটি গুলি করে নামানো হয়। তবে ড্রোনটি হামলার উদ্দেশে ইরানে ঢুকেছিল নাকি নজরদারি চালানোর জন্য এই অনুপ্রবেশ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই ঘটনার পর ফের মধ্যপ্রাচ্যে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। ডোনাল্ড ট্রাম্প আগেই জানিয়েছেন এই হামলার আগাম খবর ছিল তাদের কাছে। যদিও ইরানের উপর ইজরায়েলের এই হামলায় তাদের কোনও হাত নেই বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি ইরান আমেরিকার উপর হামলা চালায় তাহলে ইরানকে এমন শিক্ষা দেওয়া হবে যা তারা স্বপ্নেও ভাবতে পারবে না।