খাস কাজোড়া কোলিয়ারির বাসিন্দা হেমন্ত কুমার মাহাতো, বয়স ১৭। রানীগঞ্জের টিডিবি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। জন্ম প্রতিবন্ধী হেমন্ত পড়াশোনায় মেধাবী, বাবা চা বিক্রেতা। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও উচ্চশিক্ষা চালিয়ে যেতে চাই সে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে শারীরিক প্রতিবন্ধীর শংসাপত্র থাকলেও নেই কাস্ট সার্টিফিকেট। ফলে পাওয়া যাচ্ছে না সরকারি প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের জন্য মহাকুমা শাসকের হাত থেকে হেমন্ত পেয়েছে সম্বর্ধনা।
সেই সময় কাস্ট সার্টিফিকেট না থাকার কথা মহকুমা শাসককে জানায় হেমন্ত। মহকুমা শাসক তাকে কাস্ট সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করার পরামর্শ দেন, কিন্তু আবেদন করার পর সি ভি ডাবলু আধিকারিকের রেকমেন্ড না থাকায় তা বাতিল হয়ে যায়। বাবা ও প্রতিবেশীদের সাথে নিয়ে হুইল চেয়ারের চেপে সোমবার কাজোরা পঞ্চায়েত অফিসে ধর্ণাতে বসে হেমন্ত। পঞ্চায়েত প্রধান মনীষা শর্মাকে সমস্যার কথা জানায় হেমন্ত। প্রধান আশ্বাস দেন শীঘ্রই তার কাস্ট সার্টিফিকেটের ব্যাপারে তারা উদ্যোগী হবেন। এদিন প্রধানের আশ্বাসে ধর্না প্রত্যাহার করে বাড়ি ফিরে যায় হেমন্ত ও তার প্রতিবেশীরা।