সোমবার পাণ্ডবেশ্বরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতলের ডাক্তারের চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগে হাসপাতালে ভাংচুর চালালো রোগীর পরিজনেরা। বাদ গেলোনা হাসপাতালের দামি-দামি আসবাবপত্র সহ অ্যাম্বুলেন্সও। মৃতার বাবা জিতেন্দ্র সাহু জানান, তার মেয়ে জানবি কুমারী বয়স ১৬ বছর। তাকে শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে গতকাল(সোমবার) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। কিছুক্ষণ অক্সিজেন দেওয়ার পর একটু সুস্থ হলে তাকে বাড়ি আনা হয়। বাড়ি এলেই ১৫ মিনিটের মধ্যে আবার শ্বাসকষ্ট শুরু হলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জিতেন্দ্রবাবু অভিযোগ, ভর্তির ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যেই তার মেয়ে মারা যায়।
আর এটা সম্পূর্ণভাবে ডাক্তারের গাফিলতির কারণেই হয়েছে বলে জানান তিনি। রোগীর মৃত্যুর ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে রোগীর পরিজনরা। ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের আসবাবপত্র। এমনকি রোগীর পরিবারদের রোষে বাদ যায়নি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সও। অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর চালায় রোগীর পরিজনেরা বলে অভিযোগ। মৃত জানবি কুমারী পাণ্ডবেশ্বরের ফুলবাগান মোড়ের বাসিন্দা। এ বিষয়ে হাসপাতাল ম্যানেজমেন্টের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান, জানবি কুমারীকে সকালে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পরিবারের লোকেরা। তারপর বিকালবেলা রোগীর পরিবার তাকে ছুটি করে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার কথা বলে।
আমরা জানাই রোগীর কন্ডিশন ক্রিটিক্যাল আছে। ছুটি দেওয়া যাবে না, তা সত্ত্বেও তারা রোগীকে জোর করে ছুটি করিয়ে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আবার রোগীকে সিরিয়াস কন্ডিশনে নিয়ে আসে হাসপাতালে এডমিশন করতে। এমনকি ভর্তি হওয়ার কিছুক্ষণ পরে সে মারা যায়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, রোগীর পরিজনেরা যে অভিযোগ করছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।