রবিবার দুপুরে সমাবেশে প্রধান মুখ হতে চলেছেন এসব সংগঠনের নেতানেত্রীরা, যাঁরা তেমন জনপ্রিয় নন। বন্যা টুডু থেকে নিরাপদ সর্দার, অনাদি সাহুরা বক্তব্য রাখবেন। পরিচিত বক্তা বলতে একমাত্র সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এছাড়া সদ্য কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঠাঁই পাওয়া সিপিএম যুব সংগঠন DYFI-এর রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় এবার বক্তব্য রাখবেন কি না, তা নিয়ে টানাপোড়েন অব্যাহত এখনও। তবে ব্রিগেডের প্রস্তুতি একেবারে শেষ পর্যায়ে। শনিবার বিকালে তা দেখে এসেছেন দলের শীর্ষ নেতারা। ব্রিগেডের মঞ্চ দেখলেই স্পষ্ট যে এবারে বামেদের মঞ্চের নকশা একটু বদলেছে। লম্বায় একটু ছোট হয়েছে মঞ্চটি। তা মোটামোটি ৩০০ মিটার এগিয়েছে। গতবার মঞ্চ হয়েছিল পার্ক স্ট্রিট মুখী। এবার তা ফের ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকে হয়েছে।
আগের বেশ কয়েকবছর ধরেই ভিক্টোরিয়া হাউসের দিকেই বামেদের ব্রিগেড মঞ্চ তৈরি হচ্ছে। ৪৮/৩২ ফুট ত্রিস্তরীয় মঞ্চ, মাঝখানে পোডিয়াম। এখানে দাঁড়িয়েই বক্তব্য রাখবেন অনাদি সাহু, বন্যা টুটু, নিরাপদ সর্দার, মহম্মদ সেলিমরা। মঞ্চের চারপাশে থাকবে মাইক্রোফোন, তার মাধ্যমে নেতাদের বক্তব্য শুনতে পাবেন ব্রিগেড ময়দান সংলগ্ন এলাকার সকলে। শনিবার পড়ন্ত বেলায় দেখা গেল, সেই মাইক্রোফোন লাগানোর কাজ চলছে। বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের ভিড় ধারাবাহিকভাবে জনপ্রিয়তা এবং সাফল্যের নজির রেখেছে। তবে সেই ভিড়ের প্রতিফলন ২০১১ সালের পর থেকে আর ভোটবাক্সে পড়েনি। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিপুল জনসমাবেশ হয়েছিল।