এলাকার কীর্তনের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন আসানসোল দক্ষিণ বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তাই কাউন্সিলারের কথায় ট্যাঙ্কার করে দেওয়া পানীয়জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। এই কারণে সোমবার আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীদের হাতে বিজেপির পতাকা ছিলো। খবর পেয়ে পুলিশ এলাকায় আসেন। পরে এক ট্যাঙ্কার জল দেওয়া হয়। এরপরে পুলিশের হস্তক্ষেপে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ তুলে নেন। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানওতোর শুরু হয়েছে। এই নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। আসানসোল পুরনিগমের ৫৬ নং ওয়ার্ডের রুইদাস পাড়ার বাসিন্দা তপন রুইদাস ও মমতা রুইদাস বলেন, গত ৫ দিন ধরে তাদের এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করা হচ্ছে না। আমাদের এলাকায় ট্যাঙ্কারের মাধ্যমে পানীয়জল সরবরাহ করা হচ্ছে গত তিন বছর ধরে। কিন্তু গত পাঁচ দিন ধরে কোন ট্যাঙ্কার আসেনি।
যে কারণে এই তীব্র গরমে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি। তাদের অভিযোগ, কয়েকদিন আগে তাদের এলাকায় একটি কীর্তনের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল এসেছিলেন। এর পরে ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর শ্রাবণী বিশ্বাস স্পষ্টভাবে বলেছেন যে যেহেতু বিজেপি বিধায়ক তাদের এলাকায় কীর্তনের জন্য এসেছিলেন, তাই তাদের এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করা হবে না। যা নিয়ে এদিন স্থানীয় মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ক্ষোভ দেখা যায়। তারা বলেন, কীর্তন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছিলো। যেখানে যে কেউ এতে অংশগ্রহণ করতে পারে। যদি কেউ ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আসে, তাকে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। এমন পরিস্থিতিতে, কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিজেপি বিধায়কের আসার কারণে পানীয় জল সরবরাহ বন্ধ করা সম্পূর্ণ অনুচিত দাবি এলাকার বাসিন্দাদের। আশা শ্রীবাস্তব বলে এক মহিলা বলেন, কাউন্সিলার বলেন ট্যাঙ্কার খারাপ। তাই জল আসেনি।
কিন্তু এর আগে তো ট্যাঙ্কার খারাপ ছিলো। তখন তো অন্য ট্যাঙ্কার করে জল দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু এখন ৫ দিন তা করা হলো না কেন? তার দাবি, এদিন রাস্তা অবরোধ করায় এক ট্যাঙ্কার জল পাঠানো হয়েছে। এদিকে, কাউন্সিলার তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, এই তো বাংলার অবস্থা। রাজ্যের শাসক দলের নেতা ও নেত্রীরা মনে করছেন, ক্ষমতায় আছে বলে, সবকিছু কিনে নিয়েছে। ঐ এলাকায় বাসিন্দাদের স্যালুট আমার। যে তারা কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছেন। তিনি আরো বলেন, আর তো কয়েক মাস। তারপর তো ক্ষমতা থেকে সরতে হবে।