জেলা তৃণমূল কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে অনুব্রত-কাজলের লড়াই অব্যাহত। বিকাশের দাবি, অনুব্রত কমিটির চেয়ারপার্সন, তাঁর সম্মতি থাকলে বৈঠক হবে। পাল্টা বিস্ফোরক কাজল, বিকাশদার বয়স হয়েছে ভুলভাল বকছে, মুখ্যমন্ত্রী ও কোর কমিটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, নেত্রীকে মান্যতা দিচ্ছে না বীরভূমের কিছু নেতা, মুখ্যমন্ত্রীর ঊর্ধ্বে ভাবছে। মাথায় রাখবেন আহবায়কের চেয়ারটা মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেকের দেওয়া। সেই চেয়ারের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করুন, না হলে গদি থাকবে না। তৃণমূল লুটে খাওয়ার দল, নিজেদের দলাদলিতেই শেষ হবে, কটাক্ষ বিজেপির। অনুব্রত বিনা বিগত ২২ মার্চ বীরভূমের বোলপুরে জেলা তৃণমূল কার্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গড়ে দেওয়া তৃণমূলের কোর কমিটির আসর বসেছিল। পরবর্তী জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা ১৯ এপ্রিল জেলার সদর শহর সিউড়ির তৃণমূল দলীয় কার্যালয়ে। বৈঠক হয়নি।
তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতিভাবে ১৯ এপ্রিল পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা। কিন্তু হলো না কেন ? কাজলের তুলে দেওয়া প্রশ্নের উত্তরে কোর কমিটির আহবায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বলেন, জেলা তৃণমূল কোর কমিটির চেয়ারপার্সন অনুব্রত মণ্ডল। তিনি জেলা সভাপতিও। তাঁর ক্ষমতা অনেক বেশি। তিনি সম্মতি দিলে তবেই কোর কমিটির বৈঠক হবে।
অনুব্রত মণ্ডলের হাতে তৈরি হওয়া নেতা বিকাশ রায়চৌধুরী কেষ্ট মন্ডলকে যতই জেলার দলের বস ভাবুক না কেন, কাজল তা মানতে নারাজ। বিকাশের পাল্টা বিস্ফোরক মন্তব্য কাজলের। তিনি বলেন, বীরভূমের কিছু নেতা তৈরি হয়ে গেছে, যারা নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঊর্ধ্বে ভাবছে। নেত্রীর গড়ে দেওয়া কোর কমিটি ও মুখ্যমন্ত্রীকে এড়িয়ে যাচ্ছেন তারা। বিকাশ রায়চৌধুরীকে ভাবা উচিত, কোর কমিটির আহবায়ক মুখ্যমন্ত্রী ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন। তাঁদের হাত মাথাই না থাকলে চেয়ার থাকবে না। তৃণমূল দল লুটে খাওয়ার। ক্ষমতা ও এলাকা দখল কে ধরে রাখবে সেই নিয়েই অনুব্রত কাজলের লড়াই। নিজেদের দলাদলিতে শেষ হবে তৃণমূল, কটাক্ষ বিজেপির।