প্রতি বছরই বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে বিশ্ব উস্নায়ন। যার জন্য এই বিশ্ব উস্নায়ন রুখতে নানান জায়গায় চলছে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি। চলছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস, ওয়ার্ল্ড আর্থ দে। আর এরই মাঝে মঙ্গলবার পানাগড় বাজারে বেআইনিভাবে গাছ কাটার অভিযোগ উঠলো। খবর পেয়ে গাছ কাটা রুখে দিলো বিজেপি কর্মীরা। জানা গিয়েছে, বুদবুদ বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় পুরাতন জাতীয় সড়কের ধারে দু’টি কদম গাছ কাটার কাজ চলছিল। সকালে স্থানীয়দের কাছে খবর পেয়ে বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সভাপতি ও বিজেপি কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন একটি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছে, অপর একটি গাছ কাটার কাজ শুরু হয়েছে।
পূর্ত দপ্তরের অধীনে থাকা রাস্তার ধারে ওই জায়গায় কার অনুমতিতে গাছ কাটার কাজ চলছিল, সেই বিষয়ে তাদের জিজ্ঞাসা করলে তারা কোনো উত্তর দিতে পারেনি। বাধ্য হয়ে বন দপ্তরকে এবং বুদবুদ থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। বনদপ্তরের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাছ কাটার যন্ত্রপাতি আটক করে নিয়ে যায়। এছাড়াও যে মোটর সাইকেলে করে যে ব্যক্তি গাছ কাটতে এসেছিলেন, তার মোটরসাইকেলটি আটক করে নিয়ে যায় বুদবুদ থানার পুলিশ। বর্ধমান সদরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি রমন শর্মা জানিয়েছেন, তারা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন একটি গাছ কাটা হয়ে গিয়েছিল, আর একটি গাছ কাটার কাজ চলছিল। সকলেই জানে জায়গাটি পূর্ত দপ্তরের অধীনে রয়েছে।
ফলে কে সেই গাছ কাটার নির্দেশ দিয়েছে, তার নির্দেশ পত্র দেখতে চাওয়া হলে যিনি গাছ কাটছিলেন তিনি কোনো রকম অনুমতি পত্র দেখাতে পারেননি। এরপরই তারা বুদবুদ থানার পুলিশ ও বনদপ্তরকে খবর দেয়। তবে দ্রুত প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বলে জানিয়েছেন তিনি। পানাগড় ফরেস্ট রেঞ্জার প্রণব কুমার দাস জানিয়েছেন, তারা খবর পাওয়া মাত্রই বন কর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠান এবং গাছ কাটার কাজ আটকে যারা গাছ কাটছিল তাদের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। অফিসে ডাকার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় তারা তাদের দোষ স্বীকার করেন। বন আইন মেনে তিনি ওই ব্যক্তি ও তার সঙ্গীদের মুচলেখা লিখিয়ে আইনানুগ জরিমানা করেন। তবে অফিস থেকে বেরিয়ে ফের ওই কাটা গাছের গুড়ি এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে ট্রাক্টরে করে নিয়ে পালানোর চেষ্টা করছিল তারাই। ফের খবর পেয়ে অফিস থেকে কর্মীরা পৌঁছাতেই সবাই পালিয়ে যায়। যেহেতু জায়গাটি পূর্ত দফতরের তাই ওই কাটা গাছগুলি পূর্ত দফতর নিয়ে চলে যাবে।