তীব্র গরম তার মধ্যে সবাই চাই একটু ঠাণ্ডা জল। সামর্থ্য সবার থাকে না কিন্তূ সবার ইচ্ছা হয় গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটু ঠাণ্ডা জল। এখন অনেকের বাড়িতেই রয়েছে জল ঠান্ডা রাখার ইলেক্ট্রনিক্স মেশিন। তবে দরিদ্র কিংবা অনেকের কাছে ঠাণ্ডা জল রাখার ফ্রিজ কেনার ক্ষমতা নেই। তাই জল ঠাণ্ডা রাখার জন্য অতীতের জিনিষ ফিরে এসেছে গরীবের ফ্রিজ মানে মাটির কলসী। এবার বৈশাখে যে ভাবে গরমের প্রভাব পড়েছে তাতে ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে জল ঠান্ডা রাখার মাটির কলসির। শুধু মাটির কলসিই নয়, রয়েছে মাটির তৈরি জলের বোতলও। বর্তমান পরিস্থিতিতে যতই দিন যাচ্ছে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে অবাক করা বিষয় হচ্ছে প্রত্যেকের বাড়িতেই রয়েছে ফ্রিজ কিংবা অন্যান্য বৈদ্যুতিক মেশিন। ঠান্ডা জল পেলেও মাটির কলসী, জগের প্রতি দুর্বলতা ও চাহিদা বাড়ছে।
নদীয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তাই মাটির কলসী, জগের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিক্রী হচ্ছে ভালই। সারি সারি ভাবে সাজিয়ে রাখা রোয়েছে হাজার হাজার মাটির কলসি। ব্যাবসায়ী তাপস পাল বলেন তাদের বংশ পরম্পরায় মাটির তৈরি জিনিসের ব্যবসা, একটা সময় জল ঠান্ডা রাখার মাটির কলসির চাহিদা থাকলেও পরবর্তীতে ব্যবসায় ভাটা পড়ে। কারণ উন্নত প্রযুক্তির বৈদ্যুতিক ফ্রিজ প্রত্যেক বাড়িতেই রয়েছে তার জন্য এই মাটির তৈরীর কলসির চাহিদা ক্রমশই কমতে থাকে। কিন্তু এখন আবার ব্যাপক চাহিদা বাড়ছে এই জল ঠান্ডা রাখার মাটির কলসির। গোটা শীতের মরশুম জুড়ে এই মাটির কলসি তৈরি করেন তারা, গরম পড়তেই শুরু হয় চাহিদা। কেউ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ঠান্ডা জল খাওয়ার জন্য, কেউ নিয়ে যাচ্ছেন বাড়িতে। এক প্রকার মাটির তৈরি কলসির জল যথেষ্টই স্বাস্থ্যসম্পন্ন, জল যেমন ঠান্ডা থাকে তেমনি পানীয় জলের স্বাদ পরিবর্তন হয় না।
সেই কারণে এখন এই মাটির কলসির বাড়ছে চাহিদা। ক্রেতা সায়ন্তনী হালদার বলেন, ফ্রিজের ঠান্ডা জল খেলে ক্ষতি হচ্ছে শরীরে। তার পর স্বাদ একটু অন্য হচ্ছে এই গরমে তাই কিনে ফেলেছেন জল ঠান্ডা রাখার মাটির কলসি। মৃৎ শিল্পী চিত্তরঞ্জন পাল বলেন, মাটির কলসির পাশাপাশি চাহিদা রয়েছে মাটির তৈরী জলের বোতলের। এক একটি বোতলে ৫০০ লিটার জল থেকে দু লিটার পর্যন্ত জল রাখা যাবে। বোতল গুলি যে মাটির তৈরি। বর্তমান উন্নতমানের ফ্রিজ কে হার মানাচ্ছে হাতের তৈরি মাটির কলসী জল ঠান্ডা রাখা গরীবের ফ্রিজ নতুন উদ্যমে জায়গা করে নিচ্ছে মানুষের মনে।