ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রিকেট দ্বিপাক্ষিক সিরিজ যেন এখন কেবল স্মৃতির পাতায়। শেষবার ২০১২-১৩ সালে এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মুখোমুখি হয়েছিল একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজে। এরপর আর কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ অনুষ্ঠিত হয়নি। শুধু আইসিসি টুর্নামেন্টেই দেখা মেলে দুই দলের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের।
তবে সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক উত্তেজনা, বিশেষ করে পহেলগাঁও হামলার পর, সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে উঠেছে। বিসিসিআইয়ের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে—আপাতত তো বটেই, ভবিষ্যতেও পাকিস্তানের সঙ্গে কোনও দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনের পরিকল্পনা নেই।
সংবাদ সংস্থাগুলোর দাবি, বিসিসিআই এবার আইসিসিকে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছে, যেন আইসিসি ইভেন্টে ভারত ও পাকিস্তানকে এক গ্রুপে না রাখা হয়। যদিও এই খবরের সত্যতা এখনো নিশ্চিত হয়নি, তবুও এমন ইঙ্গিত বেশ বড় বার্তাই বহন করে।
সবাই জানে, ভারত-পাক ম্যাচ মানেই দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে। টিকিট মুহূর্তে বিক্রি শেষ, টিভিতে রেটিং রেকর্ড ভেঙে যায়। কিন্তু রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তাজনিত কারণে ভারত এখন এমন ম্যাচ থেকে দূরে থাকতে চাইছে।
২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল নিরপেক্ষ ভেন্যু দুবাইয়ে। একই চিত্র দেখা যেতে পারে আগামী দিনেও। এমনকি ২০২৪ সালে ভারতে হতে যাওয়া মহিলাদের বিশ্বকাপেও পাকিস্তান নারী দল খেলবে নিরপেক্ষ ভেন্যু থেকে।
বিসিসিআইয়ের সিনিয়র কর্তা রাজীব শুক্লা আগেই জানিয়েছিলেন, “আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলি না এবং খেলবও না। তবে আইসিসি ইভেন্টে অংশ নিতে হয় বলেই খেলতে হয়।”
২০২৬ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত ও শ্রীলঙ্কা। তার আগে বিসিসিআই এখন এশিয়া কাপ নিয়েই ব্যস্ত, যা আয়োজিত হবে ভারত ও বাংলাদেশে।
এই পরিস্থিতি আরও স্পষ্ট করে দিচ্ছে—ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ফের কোনও পূর্ণাঙ্গ সিরিজ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা নেহাতই ক্ষীণ।