নিয়ম না মানলে বার-রেস্তরাঁ-ক্যাফেগুলি ভেঙে দেওয়া হবে, সাফ জানিয়েছে পুরসভা। কোন এলাকার কোন বার-রেস্তরাঁ-ক্যাফে বন্ধ হচ্ছে, রইল সেই তালিকা। পার্ক স্ট্রিট এলাকার সাতটি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ। রয়েছে দ্য স্কাই স্টোরি, রুটস, আউরিস হোটেল অফ ফোর, দ্য গোল্ডেন পার্ক, ড্রাঙ্কেন টেডি, স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড, এলএমএনওকিউ। শেক্সপিয়র থানা এলাকার ৮টি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ। রয়েছে হ্যাশট্যাগ, সোল, অলটেরা, দ্য অ্যাসটোর, পার্ক স্ট্রিট সোশাল, কিউ এআই কিউ এআই, দ্য লর্ডস অ্যান্ড ব্যারনস, ইটিং হাউস কাম রেস্তরাঁ। ভবানীপুর থানা এলাকার তিনটি রুফটপ বার-রেস্তরাঁ রয়েছে এই তালিকায়। রয়েছে ক্লাউড ট্যাভেরন, ক্লাব কলকাতা মিক্সটেপ, রোমানিয়া কানহা কনফেকশনারি।
টালিগঞ্জের থানা এলাকার দু’টি-নমনস ইন, ক্য়ালোরি এইচআইসি।
নিউ আলিপুরের জায়কা, চেতলার রুফটপ, বেলেঘাটার কিচেন কিউ স্পেশালিটি, ট্যাংরার কলকাতা ৪৬, বড়বাজারের মিস অলিভ, গিরীশ পার্কের ক্যাফে সিক্সটিনথ এয়ার কাসা, হেয়ার স্ট্রিটের মাইট কুইনস বার, নিউ মার্কেটের ব্লু অ্যান্ড বেয়ন্ড, আনন্দপুরের মনজিলাত, প্রগতি ময়দানের লা ফেলিস, যাদবপুরের স্ক্র্যাপ ইয়ার্ড বন্ধ করা হচ্ছে।
তালিকায় রয়েছে গরফার স্টেমিন মাগস, জাফরান বার, স্পাইস অফ জয়। নেতাজি নগরের আফটার নাইন বার, টি কে কে রেস্তরাঁ, রাজ রেস্তরাঁ।
সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে কসবা থানা এলাকায়। এখানকার ১০টি রুফটপ বন্ধ করা হয়েছে। তালিকায়-ভিভান্ত, সিংজি ধাবা, লা ফ্লেম, এইচ টু ও নভলিটি অফ ৩৮৭, চিনি কম, মিস চিলিস, মিস সেন হোটেলস, এশিয়া কিচেন, হপ্পিপোলা, জারা।
বেহালার দুটি-ফ্রিকশন ক্যাফে, হোটেল রয়্যাল হাইট, পর্নশ্রীর তিনটি, বেনিয়াপুকুরের দু’টি, তোপসিয়ার তিনটি, বালিগঞ্জের পাঁচটি, গড়িয়াহাটের তিনটি, তিনজলার একটি রুফটপ বন্ধ করা হচ্ছে। পাশাপাশি লেক থানার একটি, কড়েয়ার ৫টি, রবীন্দ্র সরোবরের ৬টি, এনপিপিএসের একটি, ওয়াটগঞ্জের দুটি এবং রাজাবাগানের একটি রুফটপ বন্ধের নোটিস দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বড়বাজারের মেছুয়ার হোটেলে মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দে্যাপাধ্যায় কড়া নির্দেশ দেন শহরের কোনও ছাদ অাটকে ব্যবসা করা যাবেনা। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও শুক্রবার বলেন ছাদ,সিঁড়ি অাটকে ব্যবসা করা যাবেনা। প্রায় পুর কমিশনার ও সার্কুলার জারি করেন এই মর্মে। অার তার ২৪ ঘণ্টার মধে্যই পুর বিল্ডিং ও থানাগুলি গোটা শহরজুড়ে যৌথ অভিযান চালিয়ে ৮৩টি বহুতলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যেখানে ছাদে টিনের শেড থার্মোকলের ছাউনির মধে্য বাতানুকুল যন্ত্র চালিয়ে রেস্তোঁরা বার চালানো হত। দিনের পর দিন এই ঘটনা চলছে। ছাদে ওঠার সিঁড়িতে হয় গ্যাস সিলিন্ডার অথবা জলের জার। অথবা ঢাঁই করা প্লাস্টিক।