পাকিস্তান সীমান্ত থেকেই ২৩ ঘণ্টা কখনো পায়ে হেঁটে অথবা ট্রেকিং করে বৈশানোর উপত্যকায় পৌঁছেছিল চার জঙ্গি। এদের মধ্যে একজন স্থানীয়।বাকি তিনজন পাকিস্তানি। তদন্তে নেমে এনআইএ জঙ্গিদের ব্যবহার করা বেশ কয়েকটি ডিভাইস পেয়েছে।পাহাড়ি ঘন জঙ্গলের পথ পার হতে জঙ্গিরা অত্যাধুনিক ডিভাইস অ্যাপ ব্যবহার করেছিল।কথা বলেছিল স্যাটেলাইট ফোনে।হত্যা করার চার দিন আগে ওই জঙ্গিরা বৈশানর উপত্যকায় এসে ঘাঁটিগারে।যেখানে তারা আশ্রয় নিয়েছিল এনআইয়ে তা ইতিমধ্যেই চিহ্নিত করেছে। ওই বাড়ির মালিক সহ আশপাশের লোকজনদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে সন্দেহভাজন কয়েকজনকে আটক করেছে এনআইএ। তাদের বিরুদ্ধে ইউ এ পিএ তে মামলা করা হয়েছে। এসবের মধ্যেই শনিবার জম্মুতে গিয়ে জেলবন্দি দুই জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনআইয়ের গোয়েন্দারা। কারণ ২০২৩ সালে ডাংরি গ্রামে বেশ কয়েকজন হিন্দুকে হত্যা করা হয়েছিল।
ওই ঘটনায় অভিযুক্ত দুজন এখন জেলবন্দি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা নিশ্চিত হতে চাইছিল যে ওই হামলা যারা করেছিল আর বৈশানর হামলায় একই উদ্দেশ্য ছিল।গোয়েন্দাদের কাছে আরও তথ্য এসেছে যে স্থানীয় স্তরে টাকা ছড়িয়ে লস্করি তাইবা অথবা জেইস ই মোহাম্মদ আইএসআইএ মদত নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে।পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এলাকার কোন জায়গা দিয়ে জঙ্গিরা কাশ্মীরে পৌঁছতে পারবে সে সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। অর্থাৎ গোটা পরিকল্পনার নেপথে রয়েছে পাক গুপ্তচর সংস্থার প্রত্যক্ষ মদত।গত তিনদিন ধরে এনআইএর ডিজি বৈশানর উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে পড়ে রয়েছেন।
তারই নেতৃত্বে চলছে এনআইএর অভিযান।এন আই এর গোয়েন্দাদের ধারণা হত্যাকাণ্ডের পর আবার দ্রুত ফিরে যাওয়া অসম্ভব।ঘন জঙ্গল সংলগ্ন কোন এলাকায় কারোর বাড়িতে তারা আত্মগোপন করেছে। অথবা জঙ্গলের মধ্যেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে।কিন্তু এই অবস্থায় তাদের খাবার ও পানীয় জল পাওয়া প্রায় অসম্ভব।জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও এন আই এ গোটা এলাকার বিভিন্ন বাড়িতে কারা কারা থাকছেন তার খবরা-খবর নিচ্ছে।গভীর জঙ্গলের থ্রিডি ম্যাচিং করা হয়েছে।কারণ কোন পথে তারা পালিয়ে ছিল সেটাই এখন খুঁজে বের করাই লক্ষ্য।এর ফলে ওই জঙ্গিদের খুঁজে বের করা সহজ হবে।