বাজবে বিমান হানার ‘সাইরেন’, হবে ‘ব্ল্যাকআউট’। পাকিস্তান আক্রমণ করলে আত্মরক্ষার খাতিরে ঠিক কী কী করতে হবে? স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকায় শত্রুপক্ষের বিমান হানার সময় কী করতে হবে, সেই বিষয়ে সাধারণ মানুষকে প্রশিক্ষণ দিতে বলে হয়েছে। তাছাড়া যুদ্ধের সময় পড়ুয়ারা কী ভূমিকা নেবে, রাজ্যগুলির সিভিল ডিফেন্সকেও উদ্ধারকাজ সংক্রান্ত মহড়া দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি বিমান হামলার সতর্কতায় সাইরেন বাজলে কী করতে হবে, হঠাৎ যদি ব্ল্যাকআউট হয়, কিংবা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন পড়ে, তবে কী করণীয়, তারও মহড়া দিতে বলা হয়েছে বুধবার।
সাইরেন বাজলে কী করতে হবে?
যুদ্ধের সাইরেন আসলে একটি সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। স্বভাবতই এই আওয়াজ খুব জোরে হয়৷ ২-৫ কিলোমিটার দূর থেকেও সাইরেন শোনা যেতে পারে৷ শব্দ বিস্তারের কথা মাথায় রেখে সাইরেনগুলি প্রশাসনিক ভবন, পুলিশের সদর দপ্তর, ফায়ার স্টেশন, সামরিক ঘাঁটি এবং শহরের জনবহুল এলাকায় উঁচুতে লাগানো হয়। সাধারণত যুদ্ধের সময় বিমান হানা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে আমজনতাকে বাঁচাতে এই সাইরেন বাজানো হয়। কোনও ক্ষেত্রে দুর্যোগের মতো জরুরি পরিস্থিতিতেও সাধারণ মানুষকে সজাগ করতে এই তীব্র শব্দ ব্যবহার করা হয়। সাইরেন বাজলে কী করবে আমজনতা? দ্রুত নিরাপদ স্থানে আশ্রয় খুঁজে নিতে হবে। খোলা জায়গায় থাকা চলবে না। ঘর বা নিরাপদ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়তে হবে। যেখানে জানালা নেই, পুরু দেয়াল রয়েছে, এমন ভবনের যতটা সম্ভব নিচে অথবা বেসমেন্টে চলে যেতে হবে। প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র সঙ্গে রাখা ভালো।
ব্ল্য়াকআউটের সময় কী করতে হবে?
যুদ্ধের সময় ব্ল্যাকআউট একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল। এই কৌশলে আবাসিক এলাকা, কলকারখানা, হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ ভবনকে শত্রুর হাত থেকে বাঁচানো সম্ভব। সাধারণত বিমান হানা বা ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সম্ভাবনা কমাতে এলাকা অন্ধকার বা ব্ল্যাকআউট করা হয়। এই সময় রোডলাইট, বাড়ি, দোকানপাটের সমস্ত আলো বন্ধ করে দিতে হবে। নিকশ কালো হবে এলাকা। প্রয়োজনে টর্চলাইট ব্যবহার করা যেতে পারে। রাস্তায় থাকা গাড়িগুলি নিভু নিভু আলো ব্যবহার করতে পারে। পাশাপাশি নজর রাখতে হবে টিভি, রেডিওতে। যে কোনও মুহূ্তে গুরুত্বপূর্ণ সরকারি নির্দেশিকা দিতে পারে প্রশাসন।