একেই হয়তো বলে ‘মরার উপর খাঁড়ার ঘা’। পায়ের জটিল অস্ত্রোপচার করিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন বালুরঘাটের মঙ্গলপুর এলাকার এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার দুপুরে বালুরঘাট রেলস্টেশনে নামার পর টোটো ধরে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু মাঝরাস্তায় এক মদ্যপ টোটোচালক বেপরোয়াভাবে তাঁদের টোটোর দিকে দ্রুতগতিতে এগিয়ে এসে সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলে ওই টোটোর সামনের কাচ ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যায়। এমনকি টোটোর ডানদিকের লোহার রড পর্যন্ত ভেঙে যায়। দুর্ঘটনায় ওই টোটোচালক ও যাত্রীরা আহত হয়েছেন।
তবে মঙ্গলবারের এই দুর্ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। মদ্যপ অবস্থায় একাধিক টোটোচালক শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। যার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত বালুরঘাট শহরের বাসিন্দারা।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বালুরঘাট থানার পুলিশ। ওই মদ্যপ টোটোচালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
আহত টোটোচালক গৌরাঙ্গ গায়েনের অভিযোগ, ‘দিনেদুপুরে বিভিন্ন টোটোচালক মদ্যপান করে গাড়ি চালাচ্ছেন। আমি ধীরগতিতে গাড়ি চালালেও ওই টোটোচালকের কোনও হুঁশ ছিল না। এভাবে নিজেরাও দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। অন্যদেরও ক্ষতি করছে। বিষয়টি প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।’
প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই এক মদ্যপ টোটোচালক যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বচসায় টোটোর সিটের নীচ থেকে ছুরি বের করে হুমকি দেন। আবার এদিন মদ্যপ টোটোচালকের জন্য দুর্ঘটনায় কার্যত আতঙ্কিত শহরবাসী। অভিযোগ, দুটি ঘটনার ক্ষেত্রেই টোটোগুলির নম্বর প্লেট ছিল না। ফলে তাদের চিহ্নিত করাও মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমন নম্বরহীন টোটো বালুরঘাটের রাস্তায় দাপিয়ে বেড়ানোয় প্রশাসনের ধারাবাহিক নজরদারি দাবি করছেন বাসিন্দারা।
এব্যাপারে বালুরঘাট সদর ট্রাফিক আইসি অরুণ তামাং জানান, ‘মদ্যপ চালকদের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলে। আমরা এই বিষয়ে নজরদারি চালাচ্ছি।’
বালুরঘাট সদর ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ জানান, ‘এবিষয়ে যদি লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে তাহলে আমরা খতিয়ে দেখব।’