শিক্ষক নিয়োগ মামলায় র্যাঙ্ক জাম করা শিক্ষকদের আর পরীক্ষায় বসতে দেয়া হবে না বলে বুধবার জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট । যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন , উইনার শিকে যাদের কোন নাম নেই আবার প্যানেল উত্তীর্ণ হওয়ার পর যারা চাকরি পেয়েছে তারা সুপ্রিম কোর্টে হের পরীক্ষায় বসার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ও বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথনের ডিভিশন বেঞ্চ ওই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন। ২০১৬ সালে যে প্যানেল ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল তা আগেই বাতিল করে দিয়েছিলেন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না। সেদিন বিচারপতিরা বলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি যে রায় দিয়ে গিয়েছেন তা বলবত থাকবে।
বিচারপতি খান্না পরিষ্কার বলে দিয়েছেন তার দেওয়া রায়ে যে অযোগ্য শিক্ষকদের কোনভাবেই চাকরির পরীক্ষায় বুঝতে দেয়া হবে না।এদিন শীর্ষ আদালতের দুই বিচারপতি ওই রায় কে মান্যতা দিয়ে জানিয়ে দেন অযোগ্যরা পরীক্ষায় বসতে পারবে না। সুপ্রিম কোর্টের রায় বলা হয়েছিল যেসব অযোগ্য শিক্ষক চিহ্নিত হয়েছেন তাদের ১২ শতাংশ হারে এতদিন ধরে যে বেতন পেয়েছেন তা ফেরত দিয়ে দিতে হবে। তা না হলে আদালত কঠোর ব্যবস্থা নেবে। রাজ্য সরকারের আবেদনের ভিত্তিতে আপাতত যোগ্য শিক্ষকরা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বেতন পাবেন এবং স্কুলে পড়াতে পারবেন। তবে এরা ইচ্ছা করলে ফের পরীক্ষায় বসে চাকরি পেতে পারে। আগামী ৩১ মেন মধ্যে রাজ্য সরকারকে শিক্ষক নিয়োগে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে হবে। আর ওই বিজ্ঞাপন হলফনামা দিয়ে আদালতে জমা দিতে হবে।
এদিন শীর্ষ আদালত সোনালী সময় জানিয়ে দেয় যে দাগিদের বিরুদ্ধে যে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে তার কোন বদল হবে না। অর্থাৎ তাদের সুদ সহ বেতন ফেরত এবং পরীক্ষায় আর বসতে পারবেন না। ইতিমধ্যে যোগ্য শিক্ষকদের আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য দেখা দিয়েছে। একদল রাজনৈতিক নেতাদের তাদের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়ে পরামর্শ নিচ্ছেন। আর একদল সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী ও মুখ্য সচিব কে চিঠি দিয়ে আলোচনায় বসার আবেদন জানিয়েছে। স্বভাবতই সবমিলিয়ে নতুন জটিলতা তৈরি হয়েছে আন্দোলনকারীদের মধ্যে। কারণ বিকাশ ভবনে আন্দোলনকারীদের মঞ্চে গিয়েছিলেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। পরবর্তীতে ওখানে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি মঞ্চে ভাষণ দিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে সব ধরনের সাহায্য করবো বলে জানিয়েছেন। বিকাশ ভবন এর আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি কাছে হস্তক্ষেপের আবেদনের কথা বলেন বিরোধী দলনেতা কে। উত্তরের শুভেন্দু বলেছেন, এই দুজনের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু প্রটোকল আছে। আমি ওদের বুঝিয়ে বলেছি। তবে আমি এবং আমার দলের কাছ থেকে সব ধরনের সাহায্য তারা পাবে।