ন্যাশনাল হেরাল্ড অর্থ তছরুপ মামলায় আদালত থেকে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধী এবং সাংসদ রাহুল গান্ধী। মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর চার্জশিটের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
আদালত জানিয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থার দায়ের করা অভিযোগে ত্রুটি রয়েছে এবং অর্থ পাচার প্রতিরোধ আইন (পিএমএলএ)-এর বিধান অনুযায়ী এই তদন্ত বৈধ নয়। বিশেষ বিচারক বিশাল গোনগে জানান, ইডি-র আবেদন ব্যক্তিগত অভিযোগের ভিত্তিতে করা হয়েছে, কোনও উপযুক্ত এফআইআরের ভিত্তিতে নয়। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত যথাযথ এফআইআর নথিভুক্ত না হলে অর্থ পাচারের তদন্ত এবং মামলা বৈধ হিসাবে বিবেচিত হবে না।
আদালত স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, পিএমএলএ অনুযায়ী তদন্ত শুরুর আগে ইডি-কে একটি এফআইআর দায়ের করতে হয়, যা এখনও করা হয়নি। শুধু সনিয়া ও রাহুল গান্ধী নন, আদালত এই মামলায় কংগ্রেস নেতা সুমন দুবে, স্যাম পিত্রোদা এবং ইয়ং ইন্ডিয়ান-সহ অন্যান্য সংস্থাকেও স্বস্তি দিয়েছে। আদালতের এই পর্যবেক্ষণের পর কংগ্রেস নেতৃত্ব স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত। বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনুসিঙভি, যিনি এই মামলায় সনিয়াদের হয়ে লড়েছেন, তিনি বলেন, এটি একটি অদ্ভুত মামলা ছিল। এখানে কোথাও কোনো অর্থের পাচার হয়নি, অথচ ইডি বেআইনি লেনদেনের অভিযোগ তুলেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে মনমোহন সিংহ সরকারের আমলেই বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী প্রথম এই দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, কংগ্রেস বেআইনিভাবে অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)-এর ২০০০ কোটির সম্পত্তি দখল করেছে। ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় আসে। কংগ্রেস অবশ্য বরাবরই এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করে এসেছে। আদালত এই পর্যায়ে অভিযোগের সত্যতা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি, বরং পুরো আইনি প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। ফাইল ফটো।














