১০ লক্ষ পরীক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ নিয়ে চরম উদ্বেগ। মাধ্যমিক পরীক্ষার সময়েই রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ (এসআইআর) চলায় বড়সড় আশঙ্কায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এই পরিস্থিতিতে বিঘ্ন এড়াতে নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিল পর্ষদ কর্তৃপক্ষ। মাধ্যমিকের কাজ ও পরিদর্শনের দায়িত্ব সামলানো শিক্ষকদের যেন ভোটের কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানানো হয়েছে ওই চিঠিতে। বুধবারের এই পদক্ষেপের পর কমিশনের জবাবের অপেক্ষায় শিক্ষা মহল।
আগামী ২ থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যে মাধ্যমিক পরীক্ষা চলার কথা। ওই নির্দিষ্ট সময়েই হিয়ারিং ও ভেরিফিকেশনের কাজ চলার সম্ভাবনা রয়েছে। পর্ষদ জানিয়েছে, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে করার জন্য রাজ্যে মোট ২৬৮২টি কেন্দ্র থাকছে। যার জন্য প্রয়োজন অন্তত এক লক্ষ পরিদর্শক। কিন্তু বেশিরভাগ শিক্ষকই বর্তমানে বিএলও-র দায়িত্বে থাকায় পড়াশোনা ও প্রশাসনিক কাজে বড়সড় প্রভাব পড়ছে। তাই ভেন্যু সুপারভাইজার ও ইনচার্জদের এই গুরুদায়িত্ব থেকে মুক্ত রাখার অনুরোধ করেছে পর্ষদ। রাজ্যে ভোটার তালিকার প্রথম খসড়া বেরোনোর পর এখন সংশোধন ও যাচাইয়ের কাজ চলছে। বহু স্কুলে পড়াশোনা প্রায় বন্ধ হওয়ার জোগাড়।
এমতাবস্থায় পরীক্ষার সূচির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এসআইআর প্রক্রিয়া চালানোর অনুরোধ করেছে পর্ষদ। শিক্ষকদের বড় অংশ বিএলও-র কাজে আটকে থাকলে মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষা পরিচালনা করা কার্যত অসম্ভব। কমিশন অবশ্য এখনও এই চিঠির কোনও উত্তর দেয়নি। ফলে পরীক্ষা পিছিয়ে যাবে নাকি বিকল্প ব্যবস্থা হবে, তা নিয়ে দোলাচলে পড়ুয়ারা।














