অভিযোগ, ৫০ হাজার ভূতুড়ে সরকারি কর্মীর তালিকা তৈরি করে আত্মসাৎ করা হচ্ছিল এই টাকা। সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশ সরকারের এই ৯ শতাংশ কর্মীর বেতন না পাওয়ার ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, সরকারি ক্ষেত্রে বড়সড় বেতন দুর্নীতি হয়েছে। ঘটনা যদি সত্য হয়, তাহলে এখনও পর্যন্ত রাজ্যের সবচেয়ে বড় বেতন দুর্নীতি এই ঘটনা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, যে কর্মীদের বেতন দেওয়া হয়েছে তাঁদের নাম রয়েছে সরকারের খাতায়। এমনকী তাঁদের নামের সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে সরকারি কোড। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে গত ডিসেম্বর মাস থেকে বেতন পাচ্ছেন না তাঁরা। এই ঘটনাতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কী ওই কর্মীরা বেতন বিহীন ছুটিতে রয়েছেন? কর্মীদের কী সাসপেন্ড করা হয়েছে? নাকি এই সব কর্মী আসলে ভূতুড়ে কর্মী। যাদের নাম সরকারি খাতায় নথিভুক্ত। কিন্তু বাস্তবে এদের কোনও অস্তিত্ব নেই।
রিপোর্ট বলছে, গত ২৩ মে ট্রেজারি ও অ্যাকাউন্ট কমিশনার (সিটিএ) সমস্ত ড্রয়িং অ্যান্ড ডিসভার্সিস অফিসাদ (ডিভিও)-দের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। যেখানে এই ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, আইএফএমআইএস সিস্টেমের অধীনে ৫০,০০০ কর্মীর বেতন প্রক্রিয়া করা হয়নি, তাদের কর্মী কোড রয়েছে ঠিকই কিন্তু কোনও ভেরিফিকেশন বা যাচাই অসম্পূর্ণ। তাঁরা চাকরি ছেড়েছেন কি না এরও কোনও তথ্য নেই।