Facebook
Twitter
LinkedIn
Threads
X
Email
WhatsApp
Telegram
StumbleUpon
Pinterest
Skype
Pocket
Reddit

দক্ষিণ ২৪ পরগনার তনুজা খাতুনের উপরেও অ্যাসিড হামলা হয়েছিল ঘুমন্ত অবস্থায়। প্রেম প্রত্যাখ্যান করার ‘অপরাধে’। ২০১০ সালের সেই ঘটনার পরে ন্যূনতম তিন লক্ষ টাকা পেতেই সময় লেগেছিল ১০ বছর! এর পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে ফের ক্ষতিপূরণের জন্য হাই কোর্টে মামলা করেন তনুজা। চলতি মাসে হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁকেও আরও সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে এসএলএসএ। রূপতাজ-তনুজারা যদিও ব্যতিক্রম। কারণ, অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মীরা বলছেন, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকেন আক্রান্তেরা। কেউ কেউ আবার ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ পেলেও বিভিন্ন কারণে তাঁরা যে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, সেটুকুও জানতে পারেন না। তাই সেই দাবিও জানান না। ফলে চিকিৎসা থেকে শুরু করে জীবনের মূল স্রোতে ফেরা— সবটাই ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে তাঁদের কাছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে রূপতাজ পাশে পেয়েছিলেন আর এক অ্যাসিড আক্রান্ত, দিল্লির শাহিন মালিকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ব্রেভ সোল ফাউন্ডেশন’-কে। ওই সংস্থার কলকাতা শাখায় কর্মরত, আর এক অ্যাসিড আক্রান্ত এবং সমাজকর্মী মনীষা পৈলান বলছেন, ‘‘অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তিন লক্ষ হলেও ক্ষয়ক্ষতি ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব। কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে এ নিয়ে প্রচার চালাতে গিয়ে দেখেছি, অনেকে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটাই জানেন না। বহু বছর আগে আক্রান্তদের কেউ কেউ কোনও ক্ষতিপূরণই পাননি। ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ পেতেও অনেকের বহু বছর লেগেছে। চিকিৎসা, লেখাপড়া-সহ একাধিক কারণে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও যে পাওয়া যায়, সেটাও অনেকে জানেন না। ২০২২ সালে হাওড়ার সাঁকরাইলের অ্যাসিড আক্রান্ত সইফুল শেখ যেমন এত দিনে আমাদের সংস্থার কাছে এসেই প্রথম ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন!’’ অথচ, রূঢ় বাস্তব হল, ক্ষতিপূরণ না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারান। আবার অনেকেরই থমকে থাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার। কলকাতা হাই কোর্টে রূপতাজের আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রূপতাজের জন্য ২০১৯ সালে মোট ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল ‘ক্রিমিনাল ইনজুরিজ় কমপেনসেশন বোর্ড’। কিন্তু তা বহু দিন ধরে বাস্তবায়িত হয়নি। এ নিয়ে এসএলএসএ, ডিএলএসএ (ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি)-র কাছে চলতি বছরে আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই হাই কোর্টে মামলা করা হয়। দিবায়নের কথায়, ‘‘রূপতাজের জন্য এই বাকি ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় যুদ্ধজয়ের চেয়ে কিছু কম নয়। তবে, এখানেই শেষ নয়। ওঁর জন্য হয় পেনশন অথবা চাকরির ব্যবস্থা করা হোক— এই দাবিতে হাই কোর্টে মামলা এখনও চলছে।’’ ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, আক্রান্তদের তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে এই রায়ের বেশ কিছু সংশোধনও হয়। পরবর্তী কালে নালসা কমিটির প্রকল্প অনুযায়ী, আক্রান্ত কোনও কিশোর-কিশোরী হলে, মুখের কোনও অংশের বিকৃতি ঘটে থাকলে বেশি ক্ষতিপূরণও পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া, ঘটনার এক মাসের মধ্যে এক লক্ষ ও ৯০ দিনের মধ্যে বাকি টাকার ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। ‘‘কিন্তু এই নির্দেশ কেউ মানছে না। ফলে অ্যাসিড হামলার পরে প্রথম ক্ষতিপূরণের টাকা পেতেই অনেকের তিন-চার বছর লেগে যাচ্ছে।’’— বলছেন ওই আইনজীবী। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? ২০২২ সালের এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মধ্যে অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৫ সালে অ্যাসিড হামলার শিকার মনীষার মতে, অ্যাসিড হামলার মতো ঘৃণ্য ঘটনাকে আজও অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ‘চেষ্টা’ হয়। আজও খোলা বাজারে অবাধে অ্যাসিড বিক্রি হয়। গ্রামে গ্রামে গিয়ে গান, লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই এ নিয়ে প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার এবং পুলিশকে আরও সংবেদনশীল করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন মনীষা। যদিও রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘খালি চোখে তো ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায় না। নিশ্চিত হতে গেলে বেশ কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। খালি চোখে অ্যাসিড হামলা বলে মনে হলেও মামলায় লেখার ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই পুলিশ পদক্ষেপ করে।’’ আইনজীবী দিবায়ন বলছেন, ‘‘ডিএলএসএ-কে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, অ্যাসিড হামলার ঘটনা গ্রামেই বেশি হয়। তাই আক্রান্তেরা প্রথমে তাদের কাছেই আসেন। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে সব সময়ে হাই কোর্ট, এসএলএসএ-র মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে কেন?’’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার তনুজা খাতুনের উপরেও অ্যাসিড হামলা হয়েছিল ঘুমন্ত অবস্থায়। প্রেম প্রত্যাখ্যান করার ‘অপরাধে’। ২০১০ সালের সেই ঘটনার পরে ন্যূনতম তিন লক্ষ টাকা পেতেই সময় লেগেছিল ১০ বছর! এর পরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাত ধরে ফের ক্ষতিপূরণের জন্য হাই কোর্টে মামলা করেন তনুজা। চলতি মাসে হাই কোর্টের নির্দেশে তাঁকেও আরও সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়েছে এসএলএসএ। রূপতাজ-তনুজারা যদিও ব্যতিক্রম। কারণ, অ্যাসিড আক্রান্তদের নিয়ে কাজ করা সমাজকর্মীরা বলছেন, ক্ষতিপূরণ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই সম্পূর্ণ অন্ধকারে থাকেন আক্রান্তেরা। কেউ কেউ আবার ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ পেলেও বিভিন্ন কারণে তাঁরা যে আরও বেশি ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন, সেটুকুও জানতে পারেন না। তাই সেই দাবিও জানান না। ফলে চিকিৎসা থেকে শুরু করে জীবনের মূল স্রোতে ফেরা— সবটাই ক্রমশ কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে ওঠে তাঁদের কাছে। ক্ষতিপূরণ নিয়ে আইনি লড়াইয়ে রূপতাজ পাশে পেয়েছিলেন আর এক অ্যাসিড আক্রান্ত, দিল্লির শাহিন মালিকের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ব্রেভ সোল ফাউন্ডেশন’-কে। ওই সংস্থার কলকাতা শাখায় কর্মরত, আর এক অ্যাসিড আক্রান্ত এবং সমাজকর্মী মনীষা পৈলান বলছেন, ‘‘অ্যাসিড হামলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ক্ষতিপূরণের পরিমাণ তিন লক্ষ হলেও ক্ষয়ক্ষতি ও পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও বেশি ক্ষতিপূরণ পাওয়া সম্ভব। কিন্তু গ্রামে-গঞ্জে এ নিয়ে প্রচার চালাতে গিয়ে দেখেছি, অনেকে ক্ষতিপূরণের ব্যাপারটাই জানেন না। বহু বছর আগে আক্রান্তদের কেউ কেউ কোনও ক্ষতিপূরণই পাননি। ন্যূনতম ক্ষতিপূরণ পেতেও অনেকের বহু বছর লেগেছে। চিকিৎসা, লেখাপড়া-সহ একাধিক কারণে অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণও যে পাওয়া যায়, সেটাও অনেকে জানেন না। ২০২২ সালে হাওড়ার সাঁকরাইলের অ্যাসিড আক্রান্ত সইফুল শেখ যেমন এত দিনে আমাদের সংস্থার কাছে এসেই প্রথম ক্ষতিপূরণের ব্যাপারে জানতে পেরেছেন!’’ অথচ, রূঢ় বাস্তব হল, ক্ষতিপূরণ না পেয়ে অনেকেই চিকিৎসা করাতে গিয়ে সর্বস্ব হারান। আবার অনেকেরই থমকে থাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচার। কলকাতা হাই কোর্টে রূপতাজের আইনজীবী দিবায়ন বন্দ্যোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, রূপতাজের জন্য ২০১৯ সালে মোট ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছিল ‘ক্রিমিনাল ইনজুরিজ় কমপেনসেশন বোর্ড’। কিন্তু তা বহু দিন ধরে বাস্তবায়িত হয়নি। এ নিয়ে এসএলএসএ, ডিএলএসএ (ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটি)-র কাছে চলতি বছরে আবেদন করা হলেও তাতে কর্ণপাত করা হয়নি বলে অভিযোগ। এর পরেই হাই কোর্টে মামলা করা হয়। দিবায়নের কথায়, ‘‘রূপতাজের জন্য এই বাকি ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় যুদ্ধজয়ের চেয়ে কিছু কম নয়। তবে, এখানেই শেষ নয়। ওঁর জন্য হয় পেনশন অথবা চাকরির ব্যবস্থা করা হোক— এই দাবিতে হাই কোর্টে মামলা এখনও চলছে।’’ ২০১৩ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খোলা বাজারে অ্যাসিড বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি, আক্রান্তদের তিন লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা বলা হয়। পরে এই রায়ের বেশ কিছু সংশোধনও হয়। পরবর্তী কালে নালসা কমিটির প্রকল্প অনুযায়ী, আক্রান্ত কোনও কিশোর-কিশোরী হলে, মুখের কোনও অংশের বিকৃতি ঘটে থাকলে বেশি ক্ষতিপূরণও পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া, ঘটনার এক মাসের মধ্যে এক লক্ষ ও ৯০ দিনের মধ্যে বাকি টাকার ৫০ শতাংশ দিয়ে দিতে হবে। ‘‘কিন্তু এই নির্দেশ কেউ মানছে না। ফলে অ্যাসিড হামলার পরে প্রথম ক্ষতিপূরণের টাকা পেতেই অনেকের তিন-চার বছর লেগে যাচ্ছে।’’— বলছেন ওই আইনজীবী। কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি? ২০২২ সালের এনসিআরবি রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের মধ্যে অ্যাসিড হামলায় শীর্ষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। ২০১৫ সালে অ্যাসিড হামলার শিকার মনীষার মতে, অ্যাসিড হামলার মতো ঘৃণ্য ঘটনাকে আজও অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার ‘চেষ্টা’ হয়। আজও খোলা বাজারে অবাধে অ্যাসিড বিক্রি হয়। গ্রামে গ্রামে গিয়ে গান, লিফলেটের মাধ্যমে প্রচার করা হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। তাই এ নিয়ে প্রশাসনের আরও দায়িত্বশীল হওয়ার এবং পুলিশকে আরও সংবেদনশীল করার প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন মনীষা। যদিও রাজ্য পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘খালি চোখে তো ব্যাপারটা নিয়ে নিশ্চিত ভাবে বোঝা যায় না। নিশ্চিত হতে গেলে বেশ কিছু পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। খালি চোখে অ্যাসিড হামলা বলে মনে হলেও মামলায় লেখার ক্ষেত্রে পুলিশের কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। তাই এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেই পুলিশ পদক্ষেপ করে।’’ আইনজীবী দিবায়ন বলছেন, ‘‘ডিএলএসএ-কে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। কারণ, অ্যাসিড হামলার ঘটনা গ্রামেই বেশি হয়। তাই আক্রান্তেরা প্রথমে তাদের কাছেই আসেন। তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিতে সব সময়ে হাই কোর্ট, এসএলএসএ-র মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে কেন?’’

কলকাতা এবং শহরতলিতে ঘিঞ্জি ও বস্তি অঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রায়শই ঘটছে। গত শনিবার নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর নীচে থাকা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ড তার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ। আগুন নেভাতে যাওয়া দমকল বাহিনীকে পড়তে হয় নানা সমস্যায়। যানজট, অপরিসর রাস্তা কিংবা রাস্তার উপর অবৈধ দখলদারি এবং পার্কিং— এ রকম বেশ কিছু বাধার জেরে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পেরিয়ে যায় অনেকটা সময়। তার জেরে অনেক সময়ই পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে পড়ে। সমস্যা সমাধানে রাজ্য দমকল বিভাগ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার নিউ টাউনের দমকল দফতরের অফিসে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন মন্ত্রী সুজিত বসু। বৈঠকে ছিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা, বিধাননগরের পুলিশ কমিশনার মুকেশ, হাওড়ার পুলিশ কমিশনার প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া।সেই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, শহরের বিভিন্ন ঘিঞ্জি এবং বস্তি অঞ্চলে কোথায় কী সমস্যা রয়েছে, কী ভাবে তার সমাধান সম্ভব, তা ‘ম্যাপিং’ করা হবে। তৈরি করা হবে বিশেষ নির্দেশিকা। মূল লক্ষ্য থাকবে ঘিঞ্জি ও বস্তি এলাকার সমস্যাগুলি চিহ্নিত করা, সমাধানের পথ বার করা এবং বাসিন্দাদের সচেতন করে তোলা। এই সমস্যাগুলি সমাধানে একটি বিশেষ ‘ম্যাপিং’ প্রক্রিয়া চালু করা হবে। এর মাধ্যমে বস্তি এলাকার সঙ্কীর্ণ রাস্তা, জলের উৎস এবং অন্যান্য সমস্যাগুলি নথিভুক্ত করা হবে। জরুরি পরিস্থিতিতে জল সংগ্রহের সুবিধার্থে জলের নতুন উৎস তৈরির বিষয়েও পরীক্ষা করা হবে।

এমনিতেই বস্তি ও ঘিঞ্জি এলাকার মূল সমস্যা হল রাস্তার সরু গঠন, যা দমকলের বড় গাড়ি প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করে। পাশাপাশি, অবৈধ পার্কিং এবং রাস্তার দখলদারি সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে। এ ছাড়া, অগ্নিকাণ্ডের সময় জলের উৎস খুঁজে পাওয়া একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে ডিভিশন লেভেলে প্রতি মাসে একটি করে বৈঠক করতে হবে। তৈরি করা হবে হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ। আগামী ১ জানুয়ারি থেকে বস্তি এলাকাগুলিতে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রচার শুরু হবে। দমকল বিভাগ স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্নি-নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করতে প্রশিক্ষণ দেবে। বিশেষ করে অগ্নিকাণ্ডের সময় দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর কৌশল শেখানো হবে। এই প্রচার কার্যক্রমে পুলিশ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলির সাহায্য নেওয়া হবে।

দমকল ও পুলিশ বিভাগের মধ্যে যোগাযোগ আরও মজবুত করতে ডিভিশন স্তরে প্রতি মাসে একটি বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও, একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করা হবে, যাতে জরুরি তথ্য দ্রুত ভাগ করা যায়। বৈঠক এবং থানার সঙ্গে দমকলবাহিনীর আলোচনা হবে মূলত স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে।

শনিবার নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর নীচে অবস্থিত একটি বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনায় প্রায় ৩০০টি ঝুপ়ড়ি পুড়ে যায়। ঘটনাস্থল এতটাই ঘিঞ্জি হওয়ায় সঠিক সময়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় দমকল। স্থানীয় বাসিন্দাদের অবশ্য অভিযোগ, দমকল প্রথমে সেতুর উপর থেকে আগুন নেভানোর চেষ্টা করায় দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার পর দমকল বিভাগ তাদের কৌশল ও পরিকাঠামো উন্নয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দমকলের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য আধুনিক সরঞ্জাম কেনার পাশাপাশি কর্মীদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। সঙ্কীর্ণ এলাকায় প্রবেশের জন্য ছোট এবং কার্যকরী যান কেনার বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

READ MORE.....

READ MORE

Mimi Chakrabarty Koyel Mallik Ananya Pandey Mouni Roy Sraddha Kapoor Ankita Dave Pooja Hagde Sreeleela Rashmika Mandanna Kiyara Advani
Mimi Chakrabarty Koyel Mallik Ananya Pandey Mouni Roy Sraddha Kapoor Ankita Dave Pooja Hagde Sreeleela Rashmika Mandanna Kiyara Advani